iTPlic.BizLogin Sign Up
Helim Hasan Akash

তৈমুর লং-এর হুঁশিয়ারি

In ঐতিহাসিক ঘটনা - 16th Jan 20 at 10:34 AM - Views : 32
তৈমুর লং-এর হুঁশিয়ারি

তুর্কী-মোঙ্গল সেনাধ্যক্ষ তৈমুর লং ছিলেন তিমুরীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। ১৩৭০ থেকে ১৪০৫ সাল পর্যন্ত ৩৫ বছর পর্যন্ত ছিলো তার রাজত্ব। আজকের দিনের তুরষ্ক, সিরিয়া, ইরাক, কুয়েত, ইরান থেকে মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ অংশ (কাজাখস্তান, আফগানিস্তান, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, ভারত, এমনকি চীনের কাশগর পর্যন্ত) তার সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। ১৪০৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মারা যান সুপরিচিত এ বিজেতা।

তৈমুর লং-এর ভাষ্কর্য

0


তৈমুর লং-এর ভাষ্কর্য


এখন কয়েক শতাব্দী সামনে আসা যাক। ১৯৪১ সালের কথা। স্থানীয় মুসলমান বাসিন্দা ও ইমামের সতর্কতা উপেক্ষা করে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা জোসেফ স্টালিন একদল ভূতত্ত্ববিদকে উজবেকিস্তানের সমরকন্দে পাঠিয়েছিলেন তৈমুরের কবরটি খনন করে দেহাবশেষ বের করে আনার জন্য। অবশেষে ১৯৪১ সালের ১৯ জুন দলনেতা মিখাইল গেরাসিমভের নেতৃত্বে তৈমুর লং-এর কবরটি পুনরায় খনন করা হয়। কবর খোড়ার পর তারা একটি কফিন পান যাতে লেখা ছিলো- “যে আমার কবর খুলবে, সে আমার চেয়েও ভয়াবহ এক আক্রমণকারীকে লেলিয়ে দিবে।”

কাকতালীয়ভাবে এর মাত্র দু’দিনের মাথায় হিটলার আক্রমণ করে বসেন সোভিয়েত ইউনিয়নে এবং এর ধাক্কায় প্রায় ২৬ মিলিয়ন লোক প্রাণ হারায়। ঐতিহাসিকদের মতে, তৈমুরের যুদ্ধাভিযানে ১৭ মিলিয়নের মতো মানুষ মারা গিয়েছিলো। ১৯৪২ সালে স্টালিন তৈমুরের দেহাবশেষ ইসলামিক রীতি অনুযায়ী পুনরায় কবর দেয়ার নির্দেশ দেন। আবারো কাকতালীয়ভাবে এর কিছুদিন পরেই স্টালিনগ্রাদে জার্মান বাহিনী আত্মসমপর্ণ করে।

0
Googleplus Pint
Helim Hasan Akash
Posts 153
Post Views 3,962
Helim Hasan Akash
0